তাইওয়ান ইস্যুতে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে মুখোমুখি চীন ও জাপান

অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১১ নভেম্বার ২০২৫ | সময়ঃ ০৬:২৮
photo

আন্তর্জাতিক ডেক্স : 

তাইওয়ান ইস্যুতে ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হয়েছে চীন ও জাপান। জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানা তাকাইচি বলেছেন, তাইওয়ান নিয়ে সংঘাত ঘটলে এবং তাতে অস্তিত্বের হুমকি দেখা দিলে আত্মরক্ষার্থে জাপান তার বাহিনী মোতায়েন করতে পারে। বেইজিং তার এই মন্তব্যকে তাইওয়ানের উপর চীনের সার্বভৌমত্বের দাবির প্রতি হুমকি হিসেবে দেখছে। 

জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি সংসদীয় কমিটিতে বলেন, যদি তাইওয়ানে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে যুদ্ধজাহাজ এবং শক্তি ব্যবহার হয়, তবে তা জাপানের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে ধরা যেতে পারে। আমাদের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

 

তার মন্তব্য ২০১৫ সালের সমষ্টিগত আত্মরক্ষা আইন উদ্দীপিত করেছে, যা শিনজো আবে’র সময়ে পাস হয়। এই আইনের অধীনে জাপান নিজে আক্রমণের শিকার না হলেও মিত্র দেশকে সাহায্য করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সামরিক পদক্ষেপে সহায়তা করতে পারে জাপান। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় যখন ওসাকায় চীনা কনসাল জেনারেল শুয়ে জিয়ান এক্সে পোস্ট করেন- যদি আমাদের দিকে নোংরাভাবে ঘাড় ঘোরানো হয় তাহলে কোনও রকম দ্বিধা ছাড়াই তা কর্তন করা ছাড়া আমাদের কোনও বিকল্প নেই।

আপনারা কি প্রস্তুত? টোকিও তার এ পোস্টটিকে ‘চরমভাবে অনুচিত’ বলে অভিযোগ করেছে এবং তা দ্রুত মুছে ফেলতে বলেছে। জাপানের সরকারি মুখপাত্র মিনোরু কিহারা উল্লেখ করেন, ওই কূটনীতিকের আরও অনেক অনুপযুক্ত মন্তব্য রয়েছে। চীনা কর্মকর্তারা দাবি করেন, তাকাইচির মন্তব্য ‘ভুল ও বিপজ্জনক’ এবং জাপানকে সতর্ক করেছেন তাইওয়ানকে স্বাধীনতাবাদী সংকেত পাঠাবেন না।

অন্যদিকে, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের দফতর চীনের হুমকিপূর্ণ ভাষা নিন্দা করেছে এবং বলেছে এটি স্বাভাবিক কূটনৈতিক আচরণের বাইরে। ওদিকে জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জর্জ গ্লাস এক্সে মন্তব্য করেন- শুয়ে জিয়ানের মন্তব্য তাকাইচি ও জাপানি জনগণের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই দ্বন্দ্ব শুরু হয় তার কয়েক সপ্তাহ আগে, যখন তাকাইচি তাইওয়ানের উপদেষ্টা লেই চিং-তে’র সঙ্গে অ্যাপেক সামিটে সাক্ষাৎ করেন। ওই সম্মেলনে তিনি শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এবং গঠনমূলক ও স্থিতিশীল সম্পর্ক গড়ার অঙ্গীকার করেন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

শেয়ার করুন